Our Experience
image
ডাঃ দেবপ্রিয় মল্লিক

প্রধান, পিআইডি ও পিআইডি সাহস

পিআইডি সাহসের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ যেমন পরামর্শ, সহায়তা, কাউন্সিলিং ও ওয়েব সেমিনার, ই ও টেলি কনফারেন্স এ বিষয়ে সমস্ত কাজগুলি নিঃস্বার্থভাবে ও বিনামূল্যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সারা বাংলা জুড়ে কোচবিহার থেকে সুন্দরবন জঙ্গলমহল থেকে আসানসোলের শিল্পাঞ্চলের মানুষেরা সহায়তা পাচ্ছেন।পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় তরুণ যুবকদের সাথে চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষ‌ক ও অন্যান্য পেশায় যুক্ত সকল মানুষের এটি একটি স্বতঃস্ফুর্ত যৌথ উদ্যোগ। দিন দিন এর ব্যাপ্তি ও গভীরতা অসংখ্য সাহায্যপ্রার্থী অসহায় মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন এই যুক্ত উদ্যোগের সাথে বিভিন্ন সমাজকর্মী ও দরদী মানুষেরা যুক্ত হচ্ছেন। পিআইডি র সহায়তা পেয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এখানে আত্মিকভাবে যুক্ত হয়ে পড়ছেন। এটি একটি নিঃস্বার্থ সেবাকর্মের এক মহতী উদ্যোগের সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।

image
ডাঃ ভবানীপ্রসাদ সাহু

বিশিষ্ট চিকিৎসক, পিআইডি সাহস-এর পরামর্শদাতা

অভূতপূর্ব এই কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে সারা বিশ্ব উথালপাতাল। আমাদের দেশে আগুপিছু না ভেবে অতি আচমকা এরজন্য লকডাউন ঘোষণার ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন। এরই একটি নির্মম পরিণতি আমরা দেখেছি পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষে ত্রে। লক্ষ‌ লক্ষ‌ শ্রমিক চরমতম দুর্দশার মধ্যে প্রাণ হাতে করে নিজের চেষ্টায় ঘরে ফিরছিলেন। শুরুতে কোনও সরকারি সাহায্য কিংবা বৃহৎ কোনও স্বেচ্ছাসেবীর বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এদের পাশে দাঁড়ায়নি। ওই সময়ই দেখলাম আমাদের চারপাশের কিছু জন রাতারাতি পিপল ইন ডিস্ট্রেস গ্রুপ খুলে তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন। এঁদের কেউ কেউ এমনকী সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি কাজ করছেন। একটা কথা শুধু অভাবনীয়! পরে এই পরিস্থিতিতে কোভিড ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়া দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসায় সাহায্য করার কাজও তাঁরা কাঁধে তুলে নিলেন। শত সহস্র মানুষের তুলনায় তাঁদের কাজ নিঃসন্দেহে সীমিত। কিন্তু যে দিশা তাঁরা দেখালেন তা অতি মূল্যবান। এই ধরনের বিন্দু বিন্দু কাজই সম্মিলিতভাবে সমুদ্রের সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের ক্ষেেত্রে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়ানোর এই মহতী আদর্শের বোধটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানবতাই যে মানুষের একমাত্র ধর্ম- এঁরা তাঁদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করছেন। এই কাজের সামান্য শরিক হওয়ার সুযোগ পেয়েও ভাল লাগছে।

image
সুকুমার মিত্র

যুগ্ম আহ্বায়ক, পিআইডি সাহস, সাংবাদিক

পিপল ইন ডিস্ট্রেস (PID)-এর নতুন উদ্যোগ পিআইডি-সাহস (PID SAHAS – Support for Accessing Health Amenities for Survival) (অনলাইন স্বাস্থ্য সহায়তা, পরামর্শ, কাউন্সিলিং ও পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে) করোনা অতিমারিজনিত কারণে রাজ্য তথা দেশের বাইরে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ও প্রবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে People In Distress অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে সহায়তা দিয়েছে বা সেই সহায়তার কাজ এখনও চলেছে। PID SAHAS- এই কর্মসূচি হল অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক দিশা দেখাতে সহায়তা দেওয়া। শিশুদের জন্য রয়েছে অন্তর্লীনা চাইল্ড কেয়ার কর্মসূচি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর.এন. গাঙ্গুলি ফাউন্ডেশন ও অধ্যাপক নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অনলাইন ক্লিনিক। PID SAHAS -এর সহায়তা পেতে আপনি PID-র ওয়েবসাইট peopleindisress.in - এ প্রবেশ করে Medical Assistance – হলদু রংযের অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিলেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ দেবেন। কোনও চিকিৎসকের সহায়তা প্রয়োজন হলে সেই পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। PID-র ওয়েবসাইটে আমাদের একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও চ্যারিটেবল হাসপাতাল, পলিক্লিনিক ও ল্যাবরেটরির দিশা দেওয়া। যাতে কোনও মতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হন। ইমেল- pidsahas@gmail.com

image
সোহম পট্টনায়ক (ডোডি)

গ্রুপ কো-অর্ডিনেটর

লকডাউনের ফলে আটকে থাকা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবং দেশের বাইরে মানুষদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করার ফলে আমরা ৪০ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তারপরে দেখলাম অনেক অসহায় মানুষ স্বাস্থ্য পরিসেবা ঠিক মতন পাচ্ছেন না, তাদের জন্যই PID-SAHAS. সেই শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের টেলিমেডিসিন গাইডলাইন মেনে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার কাজ চলছে। এর জন্যে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। আমাদের সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আমাদের মুল লক্ষ অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকা।

I am proud that I am a Co-ordinator of this group. During lockdown we have taken a initiative and group was set up. For this group, more than 40000 thousand people got benefit. We have helped them by providing them with pass or by availing Shramik Special train for them. Again where we need we have provided with food. We had helped them by all possible ways. As a co-ordinator I would like to say thanks to my all team members for their wonderful support. Thanks to my all back office members also. We have taken another initiative for the poor people that in this situation by applying to us they can get free telemedicine service. So for that a lot of Thanks to the Honorable Doctors.

image
অর্ণব ভট্টাচার্য্য

প্রধান, পি আর গ্রুপ

People In Distress একটি অনলাইন গ্রুপ যেটা আমারা covid-19 মহামারীর সময় চালু করা হয় যা অসহায় মানুষদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। আমি এই গ্রুপের PR Team এর অন্যতম প্রধান হতে পেরে খুবই আনন্দিত বোধ করছি। আমরা লকডাউন চলাকালীন অনেক মানুষকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আগামী দিনে মানুষকে আরও নানাভাবে পরিষেবা দিতে পারব। আর তার জন্যই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্যে আমারা PID SAHAS গঠন করা হয়। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমারা সবসময় মানুষের সাথে আছি, থাকব।

image
দীপক কুমার দাঁ

পরামর্শদাতা- পিআইডি সাহস

PID সংগঠন গত তিন মাস ধরে লকডাউন পর্যায়ে দুর্গত অভাবী মানুষদের মধ্যে ত্রাণবিলি ও খাদ্য পাঠানোর কাজে অসাধারণ মানবিক প্রয়াসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বহু জটিল সমস্যা অতি দ্রততার সঙ্গে সমাধা করেছে।PID-সাহস চিকিৎসা পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্র অতি অল্প সময়ের মধ্যে নজিরবিহীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত রেখেছে। একদল স্বেচ্ছাসেবক নিঃস্বার্থ সেবার মনোভাব নিয়ে প্রতিটি কাজে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে। আজকের সমস্যাদীর্ণ সময়ে এই কাজ সকলের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। আমি এই গ্রুপের সকলকে আমার নম্র অভিবাদন জানাচ্ছি।

image
মোস্তাফা হাবিব

সদস্য, পিআইডি সাহস, শিক্ষ‌ক

সমন্বয়ের অভাবে অনেকসময় মানুষ সঠিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন অথবা সঠিক চিকিৎসকের সন্ধান পান না। সময় নষ্ট করে ফেলেন অনেকে। আসলে রোগ যখন কোন পরিবারে হানা দেয়, রোগীর পরিবারের মানুষদের কাছে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা দূর করতে আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্যে পি আই ডি সাহসের উদ্যোগ রাজ্যের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যাচ্ছে ৷ সদিচ্ছা থাকলে একটা সামান্য প্রচেষ্টাও কতটা দূর যেতে পারে পি আই ডি তার উদাহরণ। প্রযুক্তিকে সঙ্গী করে রোগ প্রতিকারের সহায়তা দেওয়ার এই অসাধারণ প্রচেষ্টা অবিরাম চলছে। ওয়েবসাইটে রোগী নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করছেন, পি আই ডির স্বেচ্ছাসেবীরা সেই তথ্য অনুযায়ী মাননীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকগণ সরাসরি রোগী দেখে দিচ্ছেন। পুরো ব্যাপারটাই চলছে কোনওরকম আর্থিক দায়ভার ছাড়াই। রোগের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সামিল সমাজের সবক্ষেত্রের মানুষ। মূল লক্ষ্য, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য অন্তত সঠিক চিকিৎসার সন্ধান দেওয়া। রোগী, সমন্বয়কারী স্বেচ্ছাসেবী আর সর্বোপরি চিকিৎসকদের মেলবন্ধনে মানবিক এই প্রয়াস। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে যে উদ্যোগের সূচনা হয়েছিল, তারই ফলশ্রুতি এই পি আই ডি সাহস। ভবিষ্যতে সমাজের প্রয়োজনে অন্যান্য দিকেও পি আই ডি তাদের চিন্তাভাবনা প্রসারিত করবে ও উদ্যোগ নেবে, এব্যাপারে সন্দেহ নেই। মানবকল্যাণের মাধ্যমে সমাজকল্যাণই মূল লক্ষ্য পি আই ডি গ্রুপের।

image
মোজাফফর রহমান

সদস্য, পিআইডি সাহস

সুস্বাস্থ্য মানুষের অন্যতম প্রধান চাহিদা এবং স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ লাভ সবার মৌলিক অধিকার ।স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হলেও"সবার জন্য স্বাস্থ্য"এ লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি ।তবে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সচেতনতার কারনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মানুষকে সহায়তা ও পরামর্শ প্র্রদান নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্দ্যোগ । PID SAHAS-এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন ।

image
শেখ সরফরাজ হোসেন

সদস্য, পিআইডি সাহস

পিপল ইন ডিট্রেস(PID) এর নতুন উদ্যোগ PID SAHAS যার মুখ্য উদ্দেশ্য সমাজের পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। এই PID SAHAS উদ্যোগ এর সংগে অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসকগণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত সন্মানীয় মানুষ রা যুক্ত আছেন। তাঁদের ঐকান্তিক চেষ্টার জন্যই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। এইরকম এক‌টি উদ্যোগের সংগে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।আগামী দিনে আমাদের চেষ্টা থাকবে এই উদ্যোগ (PID SAHAS) এর মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলো কে যেন আরো বেশি করে চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তা দিতে পারি।এই বিষয়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

image
রণদীপ ঘোষ

সদস্য, পিআইডি সাহস

নমস্কার, আমি রনদীপ ঘোষ, অশোকনগর নিবাসী। একটি বেসরকারী সংস্থায় accountant and back office পোস্টে কাজ করি। মার্চ মাসের শেষের দিকে যখন চার ঘন্টার নোটিশে লকডাউন-১ শুরু হয় তখন অনেকের মতো আমাদের সংস্থাও বন্ধ হয়ে যায় তারফলে কোভিড-১৯ ও লোকডাউনে কোথায় কি হচ্ছে তার খবর চারদিক থেকে পেতাম। প্রচুর মানুষ তাঁরা তাদের কাজের জায়গায় আটকে গেছে, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সাহায্য না পেয়ে চিন্তিত হয়ে খালি পেটে শুধু জল খেয়ে হাজার হাজার মাইল পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে শুরু করে এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রায় ৯০০ মানুষ রাস্তায় কোনো না কোনো ভাবে প্রাণ হারাতো। এই সময় অনেক দিনের পরিচিত বন্ধু কাম দাদা শ্রেষাদ্রি রায়ের একটা ফেসবুক পোস্ট দেখে পিপল ইন ডিস্ট্রেস জেনারেল গ্রুপে যোগদান করি। সেখান থেকে গ্রুপের অগ্রণী সদস্যদের সক্রিয়তায় আরো কিছু সদস্যের সাহায্যে কি ভাবে কাজ করা হচ্ছে যেমন কোথায় কে আটকে আছে, কে কোথা থেকে কোথায় ফিরতে চায়, কে সার্ভার জ্যাম থাকার জন্যে ই-পাস বানাতে পারছে না বলে চিন্তিত, কার কাছে খাবার ও অর্থের রসদ শেষ হয়ে আসছে বলে পরিবার ও নিজের জন্যে চিন্তিত, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের সময়সারণী ও তার টিকিট বা অপ্রুভালের জন্যে সেখানকার নোডাল অফিসারকে ও স্থানীয় পুলিশ অফিসারকে মেইল করা বা ফোন করে রিপোর্ট করা সর্বোপরি আমাদের রিপোর্টার টিম ও পাবলিক রিলেশন টিমের সদস্যরা প্রতিনিয়ত আটকে পড়া মানুষদের তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য পুরোপুরি অরাজনৈতিক ও হিউম্যানিটারিয়ান গ্রাউন্ডের সাথে সদ্ভাব রেখে কি কি ভাবে কাজ করছে সেগুলো শিখতে থাকি। আমার যেহেতু শ্রবণশক্তি কম তাই মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতাম না, সেটা বুঝে আমাকে সারা দেশের সমস্ত তথ্য যোগানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেটে আমার যেহেতু আগে থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করার একটা অভ্যাসে আছে তাই আমি যত পেরেছি যেমন স্টেটওয়াইজ ট্রেনের সময়সারণী, স্টেটওয়াইজ নোডাল অফিসারদের নাম ও যোগাযোগ মাধ্যম, হসপিটাল ও কোভিড-১৯ ল্যাবের নাম ও যোগাযোগ মাধ্যম একটা একটা করে এক্সসেল সিট বানিয়ে আমাদের মেম্বারদের দিতাম। মেম্বাররা জানাতো এগুলো একসাথে থাকার ফলে তাড়াতাড়ি কাজ করতে সুবিধা হচ্ছে তখন বুঝতে পারতাম যে যতটুকু পারছি ঠিকঠাক চেষ্টা করেছি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখতে চাই সমস্ত ডাটা ইন্টারনেট ঘাঁটলে পাওয়া যায় এবং বুঝতে পারছিলাম সমস্ত ডাটা একজায়গায় না থাকার দরুন অনেকের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে তাই ডাটা কালেকশনের কাজটার দায়িত্ব আমি নিজেই নিয়েছি। এছাড়াও এটাও বলতে হয় আমাদের মেম্বাররা তারা তাদের যে পেশায় কাজ করে জীবনধারণের জন্যে উপার্জন করে থাকেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে পিপল ইন ডিস্ট্রেসের জন্যে যে ভাবে কাজ করেছে তার জন্যে আমি নত শিরে স্যালুট জানাই। আশা করি ভবিষ্যতেও যদি দরকার পড়ে তাহলে আমাদের মেম্বাররা ও আমি সমান ভাবে দায়বদ্ধ থাকবো।

image
সৈফুদ্দিন মণ্ডল

সদস্য, পিআইডি সাহস

মার্চ, ২০২০ শেষ সপ্তাহে করোনা অতিমারিজনিত কারণে দেশে আকস্মিক লকডাউনের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সমাজকর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষেরা সাধ্যমত কাজ করেছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সকলে সব কাজে সামিল হলে তো সমাজে সমস্যাই থাকত না। বিশেষত লকডাউনের ফলে নানা কারণে বাইরে গিয়ে আটকে থাকা মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য অনলাইনে নিরন্তর পরিষেবা দিয়ে চলেছে পিপল ইন ডিস্স্ট্রেস (PID)-র কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর এলাকায় ঐকতান ক্লাবের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী সহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিলির কাজ আমরা করছিলাম। হঠাৎই জড়িয়ে পড়লাম PID-র সঙ্গে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার মাঝেই এল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এ এক ভযাবহ করুণ পরিস্থিতি বিশেষত দক্ষিফণবঙ্গের মানুষের কাছে। PID –র কাজ করতে করতে কখন স্বাস্থ্য পরিষেবায় জড়িয়ে পড়েছে গ্রুপ তার হিসেব রাখিনি। কিন্তু দেখেছি সেই সময় স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু সদস্য চিকিৎসক ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। পরিণতিতে তৈরি হল PID SAHAS। ঘরে বসে বিনা ব্যয়ে টেলিমেডিসিনের এই সুযোগ সর্বত্র পৌঁছে দিতে কর্মীবাহিনীর সন্ধান শুরু হল। এটা এক চলমান প্রক্রিয়া। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা যত বাড়বে পরিষেবা তত বেশি মানুষ পাবেন। PID SAHAS সেই সাহসের জায়গা তৈরির একটা সম্ভাবনা মাত্র। এর সফলতা নির্ভর করছে আমার-আপনার সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার উপর।

image
নবীন কুমার সরকার

সদস্য, পিআইডি সাহস, সফটওয়্যার ডেভলপার

বাইরে থেকে পরিযায়ী শ্রমিক ও আটকে থাকা মানুষদের ফিরিয়ে আনার কাজ পিপল ইন ডিস্ট্রেস (PID) শুরু করেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। আমি যখন জানতে পারি যে অনলাইনে এই পরিষেবার কাজ স্বেচ্ছায় কর্মীরা করছেন ফোনে সব তথ্য জেনে নিয়ে। আমার মনে হল একজন অতি সামান্য তরুণ শিক্ষাননবীশ ওয়েব ডেভলপার হিসেবে আমার সাথীদের নিয়ে একটা অ্যাপের মত ওয়েব পোর্টাল তৈরি করে দিতে পারি তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রবাসে আটকে থাকা মানুষেরা সেখানে দিয়ে সাবমিট করলে এই কাজে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের কাজ কিছুটা লাঘব হতে পারে। এইভাবে যুক্ত হওয়া। তারপর এল স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য PID SAHAS –এর কাজ। পোর্টালের ডেভলপমেন্টের কাজ শুরু হল। এই কাজের কোনও শেষ নেই। দেখলাম একজন ডোমেইন কিনে দিলেন। একটি প্রতিষ্ঠান তাদের হোস্টিং শেয়ার করলেন। সাধারণত খুব কম হলেও বছরে সার্ভার হোস্টিং-এর জন্য ১২ হাজার টাকা লাগে। ডোমেইনের জন্য হাজার দেড়েক টাকা। ডেভলপমেন্টের কাজের পারিশ্রমিকের বিষয়টি ভাবনায় কখনও আসেনি। যখন দেখছি সকলে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন। আমরাও কাজ করে আনন্দই পেয়েছি বা পাচ্ছি। রাজ্যে তথা দেশে ওয়েব ডিজাইনের ভাল কাজ যাঁরা করেন তাঁদের কেউ কেউ আমাদের শিক্ষ‌ক। তাঁদের হাতে তৈরি হলে সে তো অনেক ভাল হতে পারে। কেউ যদি আরও ভালো ওয়েব পোর্টাল তৈরিতে এগিয়ে আসেন, ডোমেইন, হোস্টিং সব নিখরচায় তৈরি হয় তখন আমরা সেই পোর্টালে চলে যাব। এতে কোনও ইগো সমস্যা আমাদের টিমের নেই। সেই উদ্যোগ যত শীঘ্র শুরু হয় ততই ভালো। আমরা PID বা PID SAHAS-এর সঙ্গে আছি, ছিলাম, থাকব-ততদিন যাঁদের দেখে যুক্ত হয়েছিলাম সেই মানুষেরা যতদিন থাকবেন। গ্রুপে যৌথ মানসিকতাই প্রধান, ব্যক্তিগত প্রচারসর্বস্ব হলে তখন গ্রুপের কাজ ব্যহত হয়। এই রোগ থেকে PID SAHAS মুক্ত। ভালো লাগছে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের যেভাবে সামিল করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় যেভাবে স্বেচ্ছাকর্মীরা এগিয়ে আসছেন তাতে ভরসা পাই পিপল ইন ডিস্ট্রেস বা পিআইডি-সাহসের কাজ সামনে এগিয়েই যাবে। অসহায় মানুষেরা সহায়তা পেলে দিনের শেষে সেটাই আনন্দের।

Contact Our Volunteers

pidsahas@gmail.com

peopleindistressduetolockdown@gmail.com